ভূমিকা
১-২ বছরের শিশুর খাবার তালিকা /শিশুর-বয়স-অনুযায়ী-খাবারের-তালিকা করা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চারা খাবারে অনীহা দেখায় বা শুধু জাঙ্ক ফুড খেতে চায়। তাই অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যা হবে সুস্বাদু, সহজে হজমযোগ্য।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার , প্রতিদিনের খাবারের তালিকা এবং স্বাস্থ্যকর টিফিন আইডিয়া।
৬ মাস থেকে ৪ বছরের শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারে কী কী থাকা উচিত?
শিশুদের জন্য প্রতিদিনের খাবারে সুষম পুষ্টি থাকা জরুরি। কারন শিশুদের শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য ঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের প্রতিদিনের খাবারে কী কী থাকা উচিত তা আলোচনা করব।
কার্বোহাইড্রেট
-
ভাত, রুটি, আলু, পাস্তা
-
শক্তি যোগায়
প্রোটিন
-
ডিম, মুরগি, মাছ, ডাল
-
শরীর গঠনে সাহায্য করে
ভিটামিন ও মিনারেল
-
শাকসবজি, ফলমূল
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ক্যালসিয়াম
-
দুধ, দই, চিজ
-
হাড় ও দাঁত মজবুত করে
শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা
প্রতিটি শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিশুদের জন্য প্রতিদিনের মেন্যুতে যেসব খাবার রাখা যেতে পারে:
সকালের নাস্তা (Breakfast)
-
দুধের সাথে কর্নফ্লেক্স বা ওটস
-
ডিমভাজি + রুটি
-
ফলের সালাদ
দুপুরের খাবার (Lunch)
-
ভাত + ডাল + সবজি + মাছ বা মুরগি
-
সবজির খিচুড়ি
-
পোলাও + ডিম/চিকেন
বিকেলের নাস্তা (Snacks)
-
ফলের জুস বা স্মুদি
-
স্যান্ডউইচ
-
ভাজা বাদাম ও ফল
রাতের খাবার (Dinner)
-
রুটি + ডাল/সবজি + ডিম
-
ভাত + মাছ বা মুরগি + সালাদ
শিশুদের জন্য সহজ রেসিপি
ডিম-সবজি অমলেট
উপকরণ:
-
২ টি ডিম
-
কাঁচা মরিচ কুচি
-
টমেটো, গাজর, পেঁয়াজ
-
লবণ ও তেল পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
ডিম ফেটিয়ে সব কুচানো সবজি মিশিয়ে তেল দিয়ে ভাজুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
সবজির খিচুড়ি
উপকরণ:
-
চাল ও ডাল
-
গাজর, আলু, মটরশুঁটি
-
হলুদ, লবণ, ঘি
প্রস্তুত প্রণালী:
চাল, ডাল ও সবজি একসাথে রান্না করুন। ঘি দিয়ে পরিবেশন করুন।
হেলদি স্যান্ডউইচ
উপকরণ:
-
ব্রাউন ব্রেড
-
শসা, টমেটো, লেটুস
-
ডিম বা চিকেন
প্রস্তুত প্রণালী:
সবজি ও প্রোটিন দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরি করুন।
শিশুদের খাবার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস
-
জাঙ্ক ফুড ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
-
খাবারকে রঙিন ও আকর্ষণীয় করে পরিবেশন করুন।
-
শিশুদের সাথে বসে খেলে তারা বেশি আগ্রহী হবে।
-
প্রতিদিন ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ানো উচিত।
“বাংলাদেশে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য–ভিত্তিক পরামর্শ জানতে FAO-এর নির্দেশিকা দেখুন।”
উপসংহার
শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার মানে শুধু পেট ভরানো নয়, বরং তাদের শরীর ও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে সাহায্য করা। সঠিক পরিকল্পনা করলে প্রতিদিনের খাবার সহজেই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর করা সম্ভব।
আপনার সন্তানকে হেলদি ও সুখী রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান, তাহলেই সে হবে প্রাণবন্ত ও সুস্থ। আরও হেলদি ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার রেসিপির জন্য দেখুন Runnar Hut।
Leave a Reply