• Skip to main content
  • Skip to primary sidebar
  • Skip to footer

Runnar Hut

Runnar Hut

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার

শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার

posted on

শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার (healthy diet for children) অপরিহার্য। পুষ্টিকর খাবার শিশুর ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ায়।শিশুদের জন্য সেরা পুষ্টিকর খাবারের   রয়েছে আপেল, কলা, পেঁপে, গাজর, পালং শাক, কুমড়া, ব্রোকলি,ভাত, রুটি, প্যারাঠা, ওটস, বার্লি,মাছ, মুরগি, ডিম, পনির, মটরশুঁটি, ডাল, দুধ, দই, ছানা, পনির, মাখন,একটি সুষম খাদ্যতালিকা তৈরি করতে এই খাবারগুলো বিভিন্নভাবে দেওয়া যেতে পারে |প্রতিদিনের খাবারে যদি এই খাবারগুলো সঠিক পরিমাণে দেওয়া যায়, তবে শিশু শুধু শক্তিশালী হয় না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার কি?

শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার হলো সেইসব খাদ্য যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন,খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে, যা শরীরকে সুস্থ, শক্তিশালী ও সচল রাখতে সাহায্য করে। এই পুষ্টি উপাদান  দেহের ক্ষয় পূরণ করে, বৃদ্ধি ঘটায় এবং শক্তি যোগায়।   

  • পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে-
  • প্রোটিন: পেশী গঠনে,
  • কার্বোহাইড্রেট: শক্তি যোগাতে ,
  • ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ: সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এবং
  • ফ্যাট একটি অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান যা শক্তি সঞ্চয় করে। 

শিশুদের জন্য সেরা ৭টি পুষ্টিকর খাবার

  • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, পনির হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
  • ডিম: ডিম প্রোটিন, আয়রন ও ভিটামিন বি সরবরাহ করে।
  • মাছ ও মাংস: ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • শাক-সবজি: গাজর, পালং শাক, ব্রোকলি ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর।
  • ফল: আপেল, কলা, কমলা শিশুদের হজমশক্তি বাড়ায়।
  • বাদাম ও বীজ: কাজুবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক।
  • ভাত ও শস্যজাত খাবার: চাল, আটা, ওটস এনার্জি যোগায়।

১ ৫ থেকে ২ বছরের বাচ্চার পুষ্টিকর খাবার তালিকা:

সকালের নাশতা:

  • দুধ বা স্মুদি
  • ওটস সাথে ফল
  • সেদ্ধ ডিম

 দুপুরের খাবার

  • ভাত, মাছ/মুরগি
  • ডাল
  • শাক-সবজি

 বিকেলের নাশতা

  • ফল
  • স্যান্ডউইচ
  • দই

 রাতের খাবার

  • খিচুড়ি বা ভাত
  • ডিম বা মাছ
  • শাক

সুস্থ বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি শিশুর প্রয়োজনীয় ১০টি পুষ্টি উপাদান

সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং শিশুদের সুস্থ বৃদ্ধি বিকাশের জন্য পুষ্টি উপাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সঠিক পুষ্টি শারীরিক বৃদ্ধি, বিকাশ এবং সামগ্রিক সুস্থতাকে সমর্থন করে।প্রতিটি শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় দশটি অপরিহার্য পুষ্টি এবং তাদের খাদ্যতালিকায় সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করার সর্বোত্তম উপায়গুলি নিয়ে আলোচনা করব।ভিটামিন ‘এ, ভিটামিন বি , ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আইরন ,প্রোটিন,  ওমেগা 3 ফ্যাটি,ম্যাগ্নেজিঅ্যাম্, ক্যালসিয়াম – এগুলো শিশুর পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করার  জন্য সর্বোত্তম উপাদান |

শিশুর জন্য পুষ্টি উপাদান গুলির কাজ ও উপকারিতা

ভিটামিন এ (Vitamin A)

  • কাজ: চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • উৎস: গাজর, কুমড়া, লাল শাক, কলিজা, দুধ।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (Vitamin B Complex)

  • কাজ: শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুর কার্যক্রম ও মস্তিষ্কের বিকাশে জরুরি।
  • উৎস: ডিম, দুধ, মাছ, ডাল, সবুজ শাক, ভাত।

ভিটামিন সি (Vitamin C)

  • কাজ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আঘাত সারতে সাহায্য করে।
  • উৎস: কমলা, আমলকি, পেয়ারা, লেবু, টমেটো।

ভিটামিন ডি (Vitamin D)

  • কাজ: ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
  • উৎস: রোদ, ডিমের কুসুম, মাছ, দুধ।

ক্যালসিয়াম (Calcium)

  • কাজ: হাড় ও দাঁত শক্ত করে এবং পেশির কার্যক্রমে সহায়তা করে।
  • উৎস: দুধ, দই, চিজ, শাক-সবজি, ছোট মাছ।

জিঙ্ক (Zinc)

  • কাজ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষত সারানো, স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
  • উৎস: ডিম, মাংস, বাদাম, বীজ, ডাল।

. আয়রন (Iron)

  • কাজ: রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, অক্সিজেন বহন করে এবং শক্তি জোগায়।
  • উৎস: কলিজা, মাংস, ডাল, পালং শাক, খেজুর।

প্রোটিন (Protein)

  • কাজ: দেহের বৃদ্ধি, টিস্যু মেরামত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • উৎস: ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল, দুধ, বাদাম।

ক্যালসিয়াম (Calcium)

  • কাজ: হাড় ও দাঁত শক্ত করে এবং পেশির কার্যক্রমে সহায়তা করে।
  • উৎস: দুধ, দই, চিজ, শাক-সবজি, ছোট মাছ।

আয়োডিন (Iodine)

  • কাজ: থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে, যা বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের বিকাশে প্রয়োজন।
  • উৎস: আয়োডিনযুক্ত লবণ, সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাত খাবার।

শিশুর অপুষ্টির সাধারণ লক্ষণসমূহ কী ?

বেশ কয়েকটি লক্ষণে বোঝা যাবে শিশুর পুষ্টি ঘাটতি|শিশুর অপুষ্টির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে : পানিশূন্যতা, শরীর দুর্বল লাগা,ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া,খিটখিটে মেজাজ, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া,কম সক্রিয় থাকা,ত্বকের সমস্যা,চোখে ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত চিহ্ন, এগুলো গুরুতর অপুষ্টির লক্ষণ হতে পারে|

শিশুর পুষ্টি ঘাটতি, করণীয় কী ?

শিশুর পুষ্টি ঘাটতি প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা যাতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পূর্ণ থাকে।শিশুর  শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত থাকে তবে সেই চাহিদাগুলি   আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কম হবে।

আপনার সন্তানের পুষ্টি বা বৃদ্ধি নিয়ে যদি আপনার কোন উদ্বেগ থাকে, তাহলে ব্যক্তিগত পরামর্শ এবং সুপারিশের জন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদদের সাথে পরামর্শ করুন।

প্রতিটি শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি, শিক্ষা ও সুখী জীবনের জন্য প্রয়োজন সুষম ও পুষ্টিকর খাবার।
 শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা মানে শুধু তাদের শারীরিক সুস্থতা নয়, বরং একটি আলোকিত ও সমৃদ্ধ আগামী পৃথিবী গড়ে তোলা।
 প্রতিটি শিশুর অধিকার সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর জীবন — আর সেই দায়িত্ব আমাদের সবার।

শিশুদের জন্য আরও এমন ঘরোয়া স্বাদের রেসিপি জানতে চোখ রাখুন: Runnar Hut.

 

Explore

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Primary Sidebar

আমি একজন গৃহিণী, রান্নাই আমার ভালোবাসা। নতুন নতুন রেসিপি চেষ্টা করা আর অন্যকে খাওয়াতে ভালোবাসি।

Categories

  • Superfoods
  • বাংলা রেসিপি
  • বিশেষ উপলক্ষের রান্না
  • ভেগান ও প্ল্যান্ট-বেইজড রান্না
  • মিষ্টি ও ডেজার্ট রেসিপি
  • শিশু ও বয়স্কদের খাবার
  • সহজ ঘরোয়া রেসিপি
  • স্বাস্থ্যকর খাবার রেসিপি

Footer CTA

  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • Disclaimer

Copyright protected by Runnar Hut © 2025