স্বাস্থ্যকর খাবার হচ্ছে এমন খাবার যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন আমিষ, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ভালো চর্বি সরবরাহ করে। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
সঠিক সময়ে যেমন সকালের নাস্তায় হালকা ও পুষ্টিকর খাবার, দুপুরে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং রাতে সহজপাচ্য খাবার খেলে শরীর ভালো থাকে। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে দীর্ঘমেয়াদে শরীর ও মন দুটোই থাকবে চাঙা।
খাবারের ধরন | উদাহরণ | উপকারিতা | পুষ্টিগুণ |
---|---|---|---|
শর্করা জাতীয় খাবার | লাল চাল, ওটস, শস্যজাতীয় রুটি | শক্তি জোগায়, হজমে সাহায্য করে | স্বাস্থ্যকর শর্করা |
সবজি | পালং শাক, ব্রকলি, গাজর, লাউ | ভিটামিন A, C, K এবং ফাইবার সমৃদ্ধ | স্বাস্থ্যকর সবজি |
ফলমূল | আপেল, কলা, আম, পেঁপে, বেরি | অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিনের উৎস | পুষ্টিকর ফল |
প্রোটিন জাতীয় | ডিম, মুরগি, মাছ (ইলিশ, রুই), ডাল | পেশি গঠনে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে | স্বাস্থ্যকর প্রোটিন |
দুগ্ধজাত খাবার | দুধ, দই, ছানা | ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস | হাড় মজবুত করে |
ভালো চর্বি | বাদাম, অলিভ অয়েল, তিল | হৃদযন্ত্র ভালো রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় | স্বাস্থ্যকর ফ্যাট |
পানি | বিশুদ্ধ পানীয় জল | হাইড্রেশন বজায় রাখে, টক্সিন দূর করে | বিশুদ্ধ পানি পা |
2|ঢেকে রান্না করুন কম পানি ও কম তাপে — এতে সবজির রঙ, স্বাদ আর পুষ্টি একসাথে রক্ষা পায়|
3|তেল-মশলা কম ব্যবহার করে স্টিম বা গ্রিল করা সবজি শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
4|ভাজাভুজি নয়, সবজি খান হালকা সিদ্ধ বা স্টিম করে — এতে থাকে আসল পুষ্টিগুণ।
5|বাড়ির রান্নাঘরেই সম্ভব স্বাস্থ্যকর সবজি দিয়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরি — জানতে হবে শুধু সঠিক পদ্ধতি।
উপকারিতা: ভালো ফ্যাট (monounsaturated fat) সমৃদ্ধ, যা কর্টিসল ও এস্ট্রোজেন হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
উপকারিতা: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: লিভার পরিষ্কার করে, এস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে, PCOS ও থাইরয়েডের জন্য উপকারী।
উপকারিতা: প্রোটিন ও ভিটামিন B সমৃদ্ধ, যা হরমোন উৎপাদনে সহায়ক|
উপকারিতা: রসুন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় ও প্রদাহ কমায় — যা হরমোন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
হরমোন শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘুম, মানসিক অবস্থা, ওজন ও ত্বকের স্বাস্থ্যের সঙ্গে এটি সরাসরি জড়িত। স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য সহজেই বজায় রাখা যায়।
ইনসুলিন হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পানি পান করলে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকে|
ওটস একটি পুষ্টিকর ও ঘরোয়া খাবার, যা হজমে ভালো, হরমোন ব্যালান্সে সহায়ক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। প্রতিদিনের খাবারে ওটস যোগ করে সহজ ও স্বাস্থ্যকর জীবন শুরু করুন।
1️⃣ উচ্চ ফাইবার (বিশেষ করে বিটা-গ্লুকান) — যা হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
2️⃣ কম ক্যালোরি ও কম চর্বি — ওজন কমাতে সহায়ক।
3️⃣ হার্টের জন্য উপকারী — খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে।
4️⃣ রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে — ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
5️⃣ প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল — যেমন ভিটামিন B1, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
উপকরণ: ওটস, ডাল, গাজর, বরবটি, আদা-রসুন, অলিভ অয়েল, লবণ।
রান্না পদ্ধতি:
১. ডাল ও সবজি সিদ্ধ করে নিন।
২. অলিভ অয়েলে সামান্য আদা-রসুন দিয়ে ভেজে নিন।
৩. এরপর ওটস দিয়ে দিন, একটু পানি দিয়ে সব একসাথে ৫ মিনিট রান্না করুন।
৪. লবণ ও সামান্য হলুদ দিন।
উপকরণ: দুধ, ওটস, খেজুর বা মধু, কলা/আপেল টুকরো।
পদ্ধতি:
১. দুধ গরম করে ওটস দিয়ে ৩–৫ মিনিট রান্না করুন।
২. ঠান্ডা হলে খেজুর বা মধু ও ফল দিয়ে পরিবেশন করুন।
স্বাস্থ্যকর ও সহজ ঘরোয়া রান্নার রেসিপি এবংস্বাস্থ্যকর টিপস পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন – RunnarHut.com“
ঘরোয়া চকলেট পুডিং– দারুণ নরম ও মুখে গলে যাওয়া স্বাদ চকলেটপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর!…
ঘরে বসেই তৈরি করুন স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু ডেজার্ট ও হেলদি স্ন্যাকস।ঘরে তৈরি সুস্বাদু ডেজার্ট ও…
খাদ্য পরিকল্পনা কী?কখন খাবেন ও কী পরিমাণে খাবেন| খাদ্য পরিকল্পনা হল সুস্থ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস…
ইলিশ মাছের পোলাও রেসিপি 2025 ইলিশ মাছের পোলাও—বাংলার ঘ্রাণ ছড়ানো এক দুর্দান্ত রেসিপি! উৎসব কিংবা…
সুস্থ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার (Healthy Food) আজকের দ্রুতগতির জীবনে সুস্থ থাকতে হলে আমাদের সবার…